বন্ধু নির্বাচনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হাদিসে বন্ধুত্ব গ্রহণ ও তার মর্যাদা সম্পর্কে বহু বাণী উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু ধার্মিক, ধৈর্যশীল, পরোপকারী ব্যক্তিকেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা উচিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপাধিগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘হাবিবুল্লাহ’ অর্থাৎ আল্লাহর বন্ধু। শুধু এ শব্দটি দিয়েই বন্ধুত্বের গুরুত্ব ও উপকারিতা বুঝা যায়। এ জন্য হাদিসে বন্ধু নির্বাচনে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। খারাপ বন্ধুর সংস্পর্শ ও বন্ধুত্বের জন্য কিয়ামতের ময়দানে আফসোস করতে হবে। নেক বন্ধু ও বন্ধুত্বের জন্য আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়া যাবে। খারাপ বন্ধুত্বের সম্পর্কের কারণে যারা দুনিয়াতে গর্ব করে, কিয়ামতের দিন সে সম্পর্ক শুধু নিষ্ফলই হবে না, বরং তা শত্রুতায় পর্যবসিত হবে।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : ‘মুমিন ব্যতীত অন্য কাউকে সঙ্গী নির্বাচন করবে না’। [তিরমিযি]
ইমাম জাফর সাদিক (রহ.) বলেছেন, ‘পাঁচ ব্যক্তির সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করা উচিত নয়। মিথ্যাবদী, নির্বোধ, ভিতু, পাপাচারি ও কৃপণ ব্যক্তি।
হযরত আলি (রা.) ইরশাদ করেন : নির্বোধের বন্ধুত্ব থেকে দূরে থাক। সে তোমার উপকার করতে চাইলেও তাকে নিয়ে তোমার ক্ষতি হবে। [সাদাকাত]
সঠিক বন্ধু নির্বাচন করলে হাশরের ময়দানে আল্লাহর আরশের ছায়ায় স্থান পাওয়ার ঘোষণা এসেছে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সাত ব্যক্তিকে কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তার আরশের ছায়ায় স্থান দেবেন। (এর মধ্যে) ওই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর জন্য একে অপরের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেছে। [বোখারি]
হে যুবক! বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের আবেগ, চাহিদা, স্বার্থ ইত্যাদী ত্যাগ করে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে ধার্মিক, বুদ্ধিমান, পরোপকারী কাউকে বেছে নিন।